ই-পেপার

পুলিশের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ ‘বয়সসীমা ৩৫’ আন্দোলনকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: June 10, 2023

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবরোধ করা চাকরি প্রত্যাশীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ধাওয়ায় শাহবাগ ছেড়ে চলে যায় তারা।

ছত্রভঙ্গ করার সময় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ৮টার সময় রমনা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। এর আগে শনিবার বিকেল ৩টা থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। এতে চারপাশের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

শাহবাগ থানা সূত্রে জানা যায়, আন্দোলনকারীদের ৯ জনকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে কারো নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ।

‘চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’-এর আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিপেটা করেছে। আন্দোলনকারীদের অনেককে আটক করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের আন্দোলন চলবে। পুলিশি হামলায় আমাদের এ আন্দোলন বন্ধ হবে না।

তবে লাঠিপেটার বিষয়টি অস্বীকার করে আন্দোলনকারীদের সরানোর বিষয়ে রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা দীর্ঘ সময় ধরে সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল। তাদের আমরা দীর্ঘ সময় বুঝিয়েছি। জনপ্রশাসন মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছি। তাদের মন্ত্রণালয়েও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তার পরও তারা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে জনদুর্ভোগ তৈরি হওয়ায় আমরা কোনো ধরনের লাঠিচার্জ না করে শুধু বাঁশির হুইসেল বাজিয়ে তাদের সরিয়ে দিয়েছি।’

দুপুর ১২টায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের’ ব্যানারে সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা। পরে তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। বাধা পেয়ে সেখানেই বসে পড়েন তারা। পরে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখে বেলুনে বেঁধে তা উড়িয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে ত্রিশোর্ধ্বরা শিক্ষা সনদ ছিঁড়ে ফেলেন।

তাদের দাবির মধ্যে আরো রয়েছে, চাকরিতে আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা, অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধুর নামে ‘বঙ্গবন্ধু ল’ কমপ্লেক্স (বঙ্গবন্ধু চেয়ার এবং একটি ম্যুরাল) স্থাপন করা।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন