নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: March 20, 2023
‘একজন মানুষও গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে ঝালকাঠিতে। একই সাথে হতে চলেছে ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষদের স্বপ্নপূরণ। ২২ মার্চ মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় জেলার সদর, নলছিটি এবং রাজাপুর উপজেলায় বিতরণ করা হবে দুই শতক জমিসহ ৪২৩ টি ঘর। এর মধ্য দিয়ে নলছিটি এবং রাজাপুরকে ঘোষণা করা হবে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত উপজেলা। এর আগে গত বছরের ২১ জুলাই কাঠালিয়াকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলার চার উপজেলার মধ্যে তিনটিই ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত হতে চলেছে।
সোমবার সন্ধায় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম।
তিনি বলেন, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ঝালকাঠিতে ২১০১ টি পরিবারকে ভূমিহীন ও গৃহহীন তালিকাভুক্ত করে প্রশাসন। পূনর্বাসনের জন্য এরই মধ্যে চার পর্যায়ে সবগুলো পরিবারের জন্য ঘরও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ১৯১৬টির। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে নির্মিত হওয়া ১৬২৬টি ঘর থেকে ১৪৯৩ টি ঘর বিতরণ সম্পন হয়েছে। আগামী ২২ মার্চ তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে নির্মিত হওয়া ঘরের মধ্যে ৪২৩টি ঘর বিতরণের মধ্য দিয়ে জেলার নলছিটি ও রাজাপুর উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। বাকী ১৮৫টি ঘর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম বিষয়ক সংবাদ সম্মেলন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম বিষয়ক সংবাদ সম্মেলন
স্থান: জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ, ঝালকাঠি
তারিখ: ২০ মার্চ ২০২৩
আয়োজনে: জেলা প্রশাসন ঝালকাঠিPosted by Surjalok on Monday, 20 March 2023
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে গ্রামবাংলার প্রান্তিক ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ করে খাসজমিসহ ঘর প্রদান করা হচ্ছে। আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সুপেয় খাবার পানি ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থাসহ সম্ভাব্য সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ভূমিহীন-গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের আওতায় এনেছেন।
বিশ্বের অনেক দেশ যখন মাথা গোঁজার ঠাঁই নিশ্চিত করার কথা ভাবতে পারেনা, সেখানে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার দুই শতাংশ জমি ও তার উপর একটি সেমি পাকাঘর পাচ্ছে। এই উদ্যোগ যেমন মানবিক, তেমনি সংবিধানের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের পদক্ষেপ। আশ্রয়ণ প্রকল্পে আশ্রয়প্রাপ্ত পরিবার অনিরাপদ জীবন-যাপন করত, ঝড়-বৃষ্টি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় যখন আত্মমর্যাদা হারাতে বসেছিল; তখন এ প্রকল্প তাদের স্বপ্ন দেখায় উন্নত জীবনের। তারা উন্নয়নের মূলস্রোতে ফিরে মানসম্মত জীবন-যাপনের মাধ্যমে আত্মমর্যাদাশীল নাগরিকে পরিণত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও রাজস্ব) লতিফা জান্নাতি, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: রুহুল আমিন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত, ট্রেজারী ও ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা) অংছিং মারমা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রেস ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।