ই-পেপার

ঝালকাঠি পৌরসভায় পরিবেশবান্ধব বর্জব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: October 31, 2018

সূর্যালোক নিউজ : প্রায় দেড়শ বছরের পুরানো ঝালকাঠি পৌরসভায় পরিবেশবান্ধব বর্জব্যবস্থাপনা নেই। জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যাটি দ্রুত সমাধানের দাবিতে ‘ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল’ এর দুই ‘রাজনৈতিক ফেলো’ মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর’১৮) প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ফেলোদ্বয় হলেন : আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এস এম রুহুল আমীন রিজভী এবং জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট সাকিনা আলম লিজা।

ফেলোদ্বয় জানান, ঝালকাঠি পৌরসভার বর্জব্যবস্থাপনার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। পরিবেশ বিপর্যয়সহ নাগরিকের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। ইতিপূর্বে ২২৫ জন নাগরিকের স্বাক্ষর সংবলিত আবেদনপত্র মেয়রে কাছে জমা দেয়া হয়েছে। সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ৫ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। তা হলো : প্রয়োজনীয় ডাস্টবিন স্থাপন, প্রতিদিন সকাল ৮টার মধ্যে বাড়িবাড়ি গিয়ে গৃহেরবর্জ সংগ্রহের জন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ, বর্জ ব্যবস্থাপনায় পরিবেশবান্ধব পলিথিন ব্যাগ সরবরাহ করা, বর্জব্যবস্থাপনায় রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া প্রয়োগ করা এবং পৌরবাসীকে নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ ফেলার জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ।

সাংবাদিক ও নাগরিকদের পক্ষে প্রেস ক্লাব সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান ও সহসভাপতি মোঃ আক্‌কাস সিকদার; টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন হিমু, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালী, আওয়ামী লীগ নেতা খসরু নোমান, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন ও অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ‘বর্জ ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ে আলোচনা করাসহ প্রশ্ন উত্থাপন করেন। সংশ্লিস্টরা জানান, ঐতিহ্যবাহী ও প্রথম শ্রেণীর ঝালকাঠি পৌরসভায় বর্জ ব্যবস্থাপনার বিষয়টির ওপর তেমন গুরুত্বারোপ করা হয়নি। খাল, নদীসহ শহরের সেখানে সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। সমস্যাটি জরুরিভাবে সমাধান করা উচিত।

আয়োজকের পক্ষে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাল এর সমন্বয়কারী দিপু হাফিজুর রহমান বিষয়টির বিভিন্ন দিক আলোকপাত করেন।

ঝালকাঠি পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ মাহাবুবুজ্জামান স্বপন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু হানিফ ও সচিব শাহিন সুলতানা সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। তারা জানান, সুষ্ঠু বর্জ ব্যবস্থাপনাসহ নাগরিক সুবিধা সম্প্রসারণে পৌরসভার বর্তমান পরিষদ খুবই আন্তরিক। শিগগিরই ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এছাড়া বর্জ ব্যবস্থাপনার জন্য বাসন্ডা এলাকায় ৯৬ শতাংশ জমি কেনা হয়েছে। পৌরবাসী শিগগিরই এর সুফল ভোগ করবে।

আয়োজকরা জানান, সমস্যার আশু সমাধান না হলে তারা সর্বস্তরের নাগরিকদের সম্পৃক্ত করে সামাজিক আন্দোলনের বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করবেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন